বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪০ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :

চেক ডিজঅনার হলে কিভাবে মামলা করবেন

 

এ্যাডভোকেট সিরাজ প্রামাণিক: লুৎফর তালুকদার। নিতান্তই একজন ভদ্রলোক। একমাত্র ছেলে ফয়সাল। ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে মনস্থির করেন তালুকদার সাহেব। পরিচয় হয় আদম ব্যাপারী আনিস আহমেদের সাথে। তিনি ফয়সালকে কানাডায় নিয়ে যাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করবেন বলে জানান। এর জন্য প্রয়োজন এগারো লক্ষ টাকা। তালুকদার সাহেব রাজী হয়ে গেলেন। জমি বিক্রি করে ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে টাকা প্রদান করলেন। কিন্তু বিধিবাম! চুক্তি অনুযায়ী আদম ব্যাপারী আনিস আহমেদ কানাডায় পাঠাতে ব্যর্থ হন। টাকা ফেরত চান তালুকদার সাহেব। শর্ত ও কথা অনুযায়ী আনিস সাহেব টাকা ফেরত দিতে রাজী হলেন। কিন্তু তিনি মনের মধ্যে এক চাতুরীতা পুষে রাখলেন। এক সকালে আনিস সাহেব একটি বেসরকারি ব্যাংক হিসাবের নিজের একাউন্ট থেকে তালুকদার সাহেবের নাম লিখে এগার লক্ষ টাকার চেক দিলেন। চেকের তারিখ অনুসারে তালুকদার সাহেব ওই ব্যাংকে যান এবং অ্যাকাউন্টে চেক প্রদান করেন। কিন্তু চেকে বর্ণিত একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। একাউন্ট থেকে জানানো হলো ওই একাউন্ট নাম্বারে পর্যাপ্ত টাকা নেই যা দিয়ে এই চেককে সম্মান করা যায়। অর্থাৎ চেকটি ডিজঅনার করা হলো। তখন তালুকদার সাহেব কিছু বুঝে উঠতে না পেরে আনিস সাহেবকে ফোন করলেন। কিন্তু আনিস সাহেবের মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেল। পাঠক! তালুকদার সাহেবের এখন করণীয় ও প্রতিকার কি তা নিচের লেখার দিকে চোখ বুলিয়ে নিন।

যে ক্ষেত্রে কোন লোক তার দ্বারা পরিচালিত কোন ব্যাংক একাউন্ট হতে অন্য কোন লোককে যে কোন পরিমাণ অর্থ পরিশোধের জন্য কোন চেক দেয় এবং উক্ত একাউন্টে যদি চেক কাটা টাকার পরিমানের চেয়ে কম টাকা থাকে এবং চেকটি যদি ব্যাংক অপরিশোধিত অবস্থায় ফেরত দেয় তাহলে চেকদাতা একটি অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে গণ্য হবে। এ অপরাধের জন্য তিনি এক বৎসর মেয়াদ পর্যন্ত দন্ডে দন্ডিত অথবা চেকে বর্ণিত অর্থের তিনগুন পরিমাণ অর্থ দন্ডে দন্ডিত হবে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।

তহবিল অপর্যাপ্ততার কারণে ব্যাংকের চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়া একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের (এনআই অ্যাক্ট) ১৩৮, ১৪০ ও ১৪১ ধারায় তহবিল অপর্যাপ্ততার কারণে ব্যাংকের চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার অপরাধের জন্য আইনি প্রতিকারের বিধান রাখা হয়েছে।

নগদ টাকার পরিবর্তে চেকের মাধ্যমে ঋণ অথবা অন্য কোনো দায় পরিশোধকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ আইন করা হয়েছে। নগদ লেনদেনে রয়েছে ঝুঁকি। তা সত্ত্বেও আমাদের দেশের নগদ লেনদেনের প্রতি মানুষের ঝোঁক বেশি। চেকের মাধ্যমে লেনদেনে ঝুঁকি কম। তবে চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ঝুঁকি আছে। বিদেশে চেক অথবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেই অধিকাংশ দেনা পরিশোধ করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো চেকের মাধ্যমে লেনদেন এখনো আমাদের দেশে ততটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। তবে ক্রমান্বয়ে চেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

ধরা যাক ‘ক’ এর কাছে ‘খ’ দুই লাখ টাকা পাবে। ‘ক’ টাকা পরিশোধের উদ্দেশে ‘খ’ কে জনতা ব্যাংকের একটি চেক দিল। চেকে টাকার পরিমাণও ছিল দুই লাখ। ‘খ’ টাকা উত্তোলনের জন্য যথাসময়ে চেকটি জনতা ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর জনতা ব্যাংক জানিয়ে দিল ‘ক’ এর ব্যাংক হিসেবে পর্যাপ্ত টাকা নেই। তহবিল অপর্যাপ্ততার কারণে ‘ক’ অপরাধ করেছে। তবে আইনের এ বিধানাবলী কার্যকর করতে কতিপয় শর্ত পূরণ করতে হবে।

চেক প্রাপকের পালনীয় কর্তব্য সমূহ
ক.চেকটি প্রস্তুত হওয়ার তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে অথবা চেকটি বৈধ থাকাকালীন সময়ের মধ্যে যেটি আগে হয় সেই সময়সীমার মধ্যে ব্যাংকে উপস্থাপন করতে হবে।
খ.চেকটির প্রাপক অথবা যথা নিয়মে ধারক যেই হোন না কেন ব্যাংক কর্তৃক চেকটি ফেরত কিংবা ডিস্অনার হয়েছে তা অবগত হওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে চেকে বর্ণিত টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়ে চেক প্রদানকারীকে লিখিত নোটিশ প্রদান করবেন।
গ.উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে চেক প্রদানকারী চেকের প্রাপককে অথবা যথা নিয়মে ধারকের বরাবর উল্লেখিত পরিমাণ টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে মামলার কারণ উদ্ভব হবে।
ঘ.মামলার কারণ উদ্ভব হওয়ার তারিখ হতে এক মাসের মধ্যে মামলা দায়ের করতে হবে।

চেকটির প্রেরক যদি কোন রেজিষ্টার কোম্পানী হয়
কোম্পানির ক্ষেত্রেও এ আইন প্রযোজ্য হবে। এনআই অ্যাক্টের ধারা ১৩৮-এ বর্ণিত অপরাধ সংঘটনকারী যদি একটি কোম্পানি হয় এবং ওই কোম্পানি যদি সংঘটিত অপরাধের জন্য দায়ী বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে ওই অপরাধ সংঘটনের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংঘটিত অপরাধের জন্য দায়ী হবেন এবং আইন অনুযায়ী দ-িত হবেন।

নোটিশ জারীর নিয়মাবলী
চেক ইস্যুকারীকে তিনভাবে উপরোক্ত নোটিশ প্রদান করা যায়। প্রথমত, নোটিশ গ্রহীতার হাতে নোটিশ পৌঁছে দেয়া, অথবা প্রাপ্ত স্বীকারপত্রসহ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে বাংলাদেশে তার জ্ঞাত ঠিকানায় নোটিশ প্রেরণ করা; অথবা বহুল প্রচারিত কোনো বাংলা জাতীয় দৈনিকে নোটিশ প্রকাশ করে।

যে সব কারণে চেকের অমর্যাদা হতে পারে সেগুলো হচ্ছে:
১. চেক মেয়াদোত্তীর্ণ হলে
২. যথাযথভাবে চেক পূরণ করা না হলে
৩. চেকে ড্রয়ারে স্বাক্ষর না হলে
৪. চেক পোস্ট ডেটেড অর্থাৎ পর-তারিখের হলে
৫. চেকে স্বাক্ষরের সঙ্গে ব্যাংকে রক্ষিত গ্রাহকের নমুনা স্বাক্ষরের অমিল হলে
৬. চেকে উল্লিখিত টাকার পরিমাণ অংকে ও কথায় অমিল হলে
৭. হিসাবে পর্যাপ্ত স্থিতি না থাকলে
৮. চেকে ঘষামাজা থাকলে
৯. চেকে কাটাকাটি থাকলে পূর্ণ স্বাক্ষর দিয়ে তা সত্যকরণ না করা হলে
১০. ব্যাংকিং সময়ের পর চেক উপস্থাপন করা হলে
এ ছাড়া আরো অনেক কারণে চেক প্রত্যাখ্যাত (বাউন্স) হতে পারে। যে সব কারণে চেক প্রত্যাখ্যাত হতে পারে তার একটি ছাপানো রশিদ প্রতিটি ব্যাংকে থাকে। যে কারণে চেকটি প্রত্যাখ্যাত হলো তা চিহ্নিত করে ওই স্লিপসহ চেকটি প্রাপকের কাছে ব্যাংক ফেরত পাঠায়। উল্লেখ্য, শুধু তহবিল অপর্যাপ্ততার কারণে চেক প্রত্যাখ্যাত হলে তা এই আইনের আওতায় পড়ে।

কোনো প্রতিষ্ঠান জাল চেক দিলে কী করবেন?
কোম্পানি/ফার্ম/অংশীদারি প্রতিষ্ঠানগুলো আইনের দৃষ্টিতে ‘ব্যক্তি’। সুতরাং যদি কোনো কোম্পানির মালিক, ব্যবস্থাপক অথবা কোনো প্রতিনিধি যদি কোম্পানির পক্ষে ভুয়া বা জাল চেক স্বাক্ষর করেন, সেই ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা যেমন ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সচিব বা বিভাগীয় পরিচালক বা চেয়ারম্যানকে মামলায় প্রথম আসামি করতে হয়। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৪০ ধারার বিধান অনুসারে কোম্পানি/ফার্মকে পক্ষ করা বাধ্যতামূলক এবং তা করা না হলে সেটি মামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি হিসেবে বিবেচিত হবে, যার ফলে আসামির খালাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মো. সফি বনাম মেজর এ কে এম আক্তারুজ্জামান নামের ২০০৯ সালের একটি মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ১৪০ ধারার পরিধি ও প্রয়োগ নিয়ে এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

আপীল দায়ের
তহবিল অপর্যাপ্ততার কারণে ব্যাংক চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার অপরাধে আদালত কাউকে কারাদন্ড প্রদান করলে তার বিরুদ্ধে আপিল করতে হলে প্রত্যাখ্যাত চেকের মূল্যের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ অর্থ সংশ্লিষ্ট আদালতে ট্রেজারি চালানযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে আপিল করতে পারেন আর যদি ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৪০৮ ধারায় আপিল করলে তা হবে হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের পরিপন্থী ও ভুল। এছাড়া ১৯০৮ সালের তামাদি আইনের প্রথম তফসিলের ১৫৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী চেক ডিজঅনারের মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি দায়রা জজ আদালতে আপিল করতে পারেন। আবার আপিলটি যদি হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করতে হয় তাহলে একই আইনের একই তফসিলের ১৫৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তামাদি মেয়াদ ৬০ দিন তবে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের জাবেদা নকল সংগ্রহ করতে ব্যয়িত সময় ওই সময় থেকে বাদ দিতে হবে।

উল্লেখ্য, আসামিপক্ষ হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারায় আনীত মামলায় আপিল না করলে নির্ধারিত কারাভোগ শেষে কারাগারে থেকে মুক্তি পাবে।

অপরাধের শাস্তি
এক বৎসর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদন্ডে দন্ডিত অথবা চেকে বর্ণিত অর্থের তিনগুন পরিমান অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।
এনআই অ্যাক্টের এই সংশোধনীর ফলে ব্যাংকগুলো ঋণের জামানত হিসেবে পণ্য বন্ধকীর পরিবর্তে পোস্ট ডেটেড অর্থাৎ পর-তারিখের চেক গ্রহণে উৎসাহী হয়ে উঠেছে। তহবিল অপর্যাপ্ততার কারণে চেকের অমর্যাদা করা হলে ব্যাংক আইনি প্রতিকার চেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের দাবি প্রতিষ্ঠা করা সহজতর হয়েছে। জেল-জরিমানার ভয়ে ঋণগ্রহীতারা অনেক ক্ষেত্রেই ঋণ পরিশোধে এগিয়ে আসছেন। কাজেই ঋণ অথবা অন্য কোনো দায় পরিশোধের জন্য চেক ইস্যু করার আগে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে যে, ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত স্থিতি রয়েছে।

চেক ডিসঅনার মামলার রায় বাস্তবায়নে ভোগান্তি
তালুকদার সাহেব সকল নিয়ম মেনে মামলা টুকে দিলেন আসি ষাহেবের বিরুদ্ধে। মামলার রায়ে আনিসের ৬ মাস কারাদন্ড ও বাইশ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়। আনিস সাহেব ছয় মাস কারাদন্ড ভোগ করে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন। এখন আর তার কোনো হদিস নেই। জরিমানার টাকা কিভাবে আদায় হবে, তালুকদার সাহেব কিভাবে তার পাওনা টাকা পাবেন আইনে এর কোনো সুনির্দিষ্ট বিধিবিধান বা ব্যাখ্যা নেই। রায়ে ঘোষিত টাকা আদায়ের জন্য যে দুটি পদ্ধতি আদালতে প্রচলিত আছে তার একটি হলো মাননীয় জেলা জজ আদালতে মিস কেইস আকারে টাকা আদায়ের মোকদ্দমা দায়ের করা। অন্যটি হলো সরকারি পাওনা আদায় আইনের অধীনে সার্টিফিকেট কেইস দায়ের করা। দুই ধরনের মামলার ক্ষেত্রেই আসামি বা দাইকের মালিকানাধীন সম্পত্তির তফসিল উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু দায়দেনা বা ব্যবসায়িক লেনদেনে যে চেকের আদান প্রদান হয় সেখানে চেক প্রদানকারীর মালিকানাধীন সম্পত্তির তফসিল জানার কোনো সুযোগ বাদী পক্ষের নেই। এরকম পরিস্থিতিতে চেক ডিজঅনার মামলার অনেক রায় অবাস্তবায়িত অবস্থায় পড়ে আছে বছরের পর বছর। এর কোনো সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। এই জটিলতা নিরসন করে রায়ের সুফল বিজয়ী পক্ষকে দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন অত্যন্ত অপর্যাপ্ত। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘোষিত রায় বাস্তবায়ন করতে হলে যে পক্ষের অনুকূলে রায় ঘোষিত হয়েছে সে পক্ষকে ভিন্ন আদালতে বা কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হতে হয়। সেখানে নতুন মামলার উদ্ভব হয় এবং রায়ের বাস্তবায়ন জটিল থেকে আরো জটিলতর হয়।

লেখক: বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী, আইন গ্রন্থ প্রণেতা ও সম্পাদক দৈনিক ‘ইন্টারন্যাশনাল’। Email:seraj.pramanik@gmail.com, মোবাইল: ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮

 

 

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel