শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ! নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের থেকেই ভিসি নিয়োগের অনুরোধ ইবি শিক্ষকদের সংবিধান সংস্কারঃ সংশোধন না-কি পুনর্লিখন?  সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতাঃ আইন কি বলে? ভূমি অধিগ্রহণে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হলে কী করবেন? ইবির জিওগ্রাফী বিভাগ: শিক্ষার্থীদের কাছে দরখাস্ত দিয়ে পদত্যাগ করলেন সভাপতি
গরমে ফুড পয়জনিংয়ের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয়

গরমে ফুড পয়জনিংয়ের কারণ ও প্রতিরোধে করণীয়

আমাদের দেশে ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া একটি পরিচিত সমস্যা। কারণ, প্রায়ই বাইরের বা হোটেল রেস্তোরাঁর খাবার অপরিষ্কার ও জীবাণুযুক্ত হয়ে থাকে। যখন কেউ দূষিত, নষ্ট বা বিষাক্ত খাবার খায়, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং পরজীবী দ্বারা সংক্রামিত, তখন ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। গরমে এই  সমস্যা বেড়ে যায়।রপ্রবীণ ও শিশুদের জন্য সমস্যাটি প্রাণঘাতী পর্যন্ত হতে পারে।

ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণ
* খাবার খেয়ে বারবার বমি করা

* পাতলা পায়খানা হওয়া

* জ্বর

* পেট ব্যথা

* ক্লান্তি

* ক্ষুধামান্দ্য

গরমে যে কারণে বাড়ে প্রকোপ
গরমের সময় ফুড পয়জনিং বেশি হয়। এ সময় খাবার দ্রুত পচে যায় বলে এতে জীবাণু সহজে সংক্রমিত হয়। এ জন্য বাসি বা পচা খাবার, গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। পথেঘাটে তৈরি খাবার না খেয়ে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খেলে ফুড পয়জনিংয়ের আশঙ্কা কমে। কারো ফুড পয়জনিং হলে সময়মতো এর চিকিৎসা করা না হলে তীব্র পানিশূন্যতা, এমনকি রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি হয়ে জটিলতা বাড়তে পারে। পানিশূন্যতা রোধে ডাব, তরমুজ জাতীয় রসাল ফলমূল খাওয়া উচিত। এতে শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা হয়।

প্রতিরোধে যা রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়
ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্তকে দিতে হবে সহজপাচ্য আমিষ। হজমের সুবিধার জন্য মাছ-মাংসের কিমা, সিদ্ধ ডিম দেওয়া যেতে পারে। ডিমের সাদা অংশ, ঘোল ও পাকা কলা, কাঁচকলা ডায়রিয়ায় বেশ কার্যকর। তবে খাবারে ডাল না রাখাই ভালো। এ ছাড়া শিং, মাগুর ও কচি মুরগির মাংসের পাতলা ঝোল জাতীয় খাবার বেশ উপকারী। এতে আলু-পেঁপে-কাঁচকলা-লাউ অথবা আঁশ ছাড়া অন্য কোনো সবজি দিতে পারলে বেশি ভালো ফল পাওয়া যায়। এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। স্যালাইন, লেবুর শরবত, ফলের রস খেলেও পানিশূন্যতা রোধ করা যাবে।

যা এড়িয়ে চলতে হবে
খাবার যেন টাটকা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ডুবোতেলে ভাজা খাবার, মসলা ও ঝালযুক্ত খাবার, মিষ্টি, চাটনি, আচার, কাঁচা সবজি, আঁশযুক্ত খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, ভুসিযুক্ত রুটি, শসা, মাংস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।

চিকিৎসা
ডায়রিয়া প্রতিরোধে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিনে

পাঁচ দিনের মধ্যে এটি ভালো হয়ে যায়। রোগী মুখে না খেতে পারলে এবং জটিল পরিস্থিতি মনে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অথবা ভালো কোনো হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।

ঘরোয়া প্রতিবার:

ফুড পয়জনিং হলে প্রতিদিন কুঁচি আদার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু খেতে পারেন, হজমশক্তি বাড়বে ও পেটব্যথা কমবে। পেট খারাপ, পেটব্যথার মতো সমস্যা নিমেষে ঠিক করে দিতে পারে এক চা-চামচ জিরাগুঁড়ো। তুলসীপাতা থেঁতো করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সুফল পাবেন। কলাতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা ফুড পয়জনিং কমাতে সাহায্য করে। একটা কলার সঙ্গে আপেল গ্রেট করে বা এক গ্লাস বানানা শেক খেলেও উপকার পাবেন। যে সব ব্যাকটেরিয়ার জন্য ফুড পয়জনিং হয়, লেবুর রসের অ্যাসিডিটিতে তার প্রভাব নষ্ট হয়ে যায়। একটা গোটা পাতিলেবুর রসের সঙ্গে সামান্য চিনি দিয়ে খেতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি উপকার হয়। ফুড পয়জনিংয়ের সময় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel