বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে সংবিধান, আইনী নৈরাজ্য ও অতীত ইতিহাস! শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মিথ্যাচার বনাম সাংবিধানিক সমাধান! সহায় সম্পত্তি পুণ্যের কাজে ওয়াক্ফ গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা! শেকড়ের সন্ধানে সাঁইজির ধামেঃ লালন কি জাত সংসারে— রক্তাক্ত মাহমুদুর রহমানের কুষ্টিয়ায় আগমন বনাম দুধের মাছিদের আনাগোনা! জনপ্রশাসন, জেলা প্রশাসক ও স্যার সম্বোধন কতটা সংবিধান ও আইনসম্মত! ক্রেতা ঠকে গেলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে যত আইনগত প্রতিকার! আইনে জামিন চর্চা বনাম বিচারকের পদত্যাগের দাবীতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ! নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের থেকেই ভিসি নিয়োগের অনুরোধ ইবি শিক্ষকদের সংবিধান সংস্কারঃ সংশোধন না-কি পুনর্লিখন? 
বাবাকে ভর্তি কমিটিতে না রাখায় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছিত করলো ছাত্রলীগ সম্পাদক

বাবাকে ভর্তি কমিটিতে না রাখায় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছিত করলো ছাত্রলীগ সম্পাদক

ইবি সংবাদদাদাতা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলমকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার একটি উপ-কমিটিতে সম্পাদকের বাবাব নাম না রাখার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। রবিবার (১৪ মে) বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টার দিকে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএন এমদাদুল হক। এসময় সেখানে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান শিক্ষার্থ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও ছিলেন। তার পাশেই বাবা তোবারক হোসেন বাদলের সাথে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় ছিলেন।

এসময় জয় এমদাদের কাছে তার বাবাকে পরীক্ষা কমিটিতে না রাখার কারণ জানতে চান। এসময় এমদাদুল বলেন, এটা প্রশাসনের কাজ এর মধ্যে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যাদের প্রয়োজন মনে করেছে তাদের সিলেক্ট করেছে। এতে আমার কোনো হাত ছিল না।

এর জের ধরে ছাত্রলীগ সম্পাদকের সাথে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে জয়ের অনুসারীরা তাকে মারতে উদ্যত হন। ছাত্রলীগ কর্মী শাহিন, হাফিজ, বাঁধনসহ ১০/১৫ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এসময় গাড়িতে থাকা অন্য কর্মকর্তারাও এক পর্যায়ে নেমে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

একপর্যায়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকিছু ছাত্রলীগের মতই চলবে। আমরা যা বলি তা করতে হবে। এসময় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি বলেন, সবকিছু এত সস্তা না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা প্রশাসনের একটা অংশ তারা তাদের রুলস রেগুলেশন অনুযায়ী চলবে। তোমরা ছাত্রলীগ কর তোমরা তোমাদের মতই চল।

এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, আমি তাদের আচরণে মানসিক ভাবে আহত ও মনক্ষুণ্ণ হয়েছি। তাদের এই অযাচিত আচরণ কোন ভাবেই সমর্থিত না। তাদের এহেন আচরণ চলতে থাকলে ছাত্রলীগেরই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।

কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট বলেন, বিষয়টি আমাদের খুব মর্মাহত করেছে। সমিতির সভাপতিকে আমরা সবাই খুব শ্রদ্ধা করি। তাকে দেখলে যেকোনো কর্মকর্তা দাঁড়িয়ে যায়। তার সাথে এমন আচরণ মোটেও কাম্য নয়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আগামীকাল (সোমবার) আমরা সভাপতির সাথে বসবো। তিনি যা বলবেন আমরা পরবর্তীতে তাই করবো।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, সে (এমদাদ) আমার কাকু। আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার স্যাপার থাকে। কাকুর সাথে একটা ইস্যু নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে তিনি গাড়িতে চলে গেলেন আর আমরা ঘুরতে চলে গেলাম। সকালে দেখবা তার রুমে বসে একসাথে চা খাচ্ছি। সাংবাদিকদের কাছে যাওয়ার মত এমন কিছুই ঘটেনি।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel