বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাবির প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ৬ আসামি দুই দিনের রিমান্ডে

ঢাবির প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ৬ আসামি দুই দিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় ৬ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ রোববার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলো—জাহিদুল ইসলাম (৪৫ ), ইনসান আলী রকি (১৯), মোস্তাকিম হোসেন (২০), সাদমান সালিদ (২১), তানভির আহমেদ (২১) ও আবু তালেব (১৯)

রবিবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আসামিদের আদালতে হাজির করেন।রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছে, তা উদঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। শুনানি শেষে প্রত্যেক আসামির দুই দিন রিমান্ডের মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে এই ৬ আসামিকে গ্রেফতারসহ তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুল আহসান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বগুড়ার রাহেমা কম্পিউটার সেন্টারের সাব্বির হোসেন রানা ও জলেশ্বরী তলার কালীবাড়ী মোড়ের গুগল অ্যাডমিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের লাহেদুজ্জামান লিমনসহ প্রতিষ্ঠান দু’টির মালিক ও কর্মীরা ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত। তারা প্রশ্নফাঁস করে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে ইনসানকে দেয়। পরে তারা এ ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়া আসামিদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলফোনগুলোয় ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ইমো, ভাইবারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাবি ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্রসহ বিভিন্ন ব্যক্তির আইডিতে এই প্রশ্নপত্র পাঠানোর ছবি ও প্রবেশপত্র, রোল নম্বর পাওয়া যায়। এই চক্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তা স্থানান্তর করে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ করে আসছিল।

ওই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুল আহসান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২২ (২), ৩৩(২) ধারা সহ পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ১৩/৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel