শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচনে দশ দিন মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী

নির্বাচনে দশ দিন মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী

ছবি ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ  দশ দিন মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। তারা এই দশ দিন মাঠে থাকবে নির্বাচনের আগে ও পরে। তাদের মাঠে নামার কথা রয়েছে আগামী ২৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ নির্বাচনের সাতদিন আগে।তারা মাঠে থাকবে নির্বাচনের দুইদিন পর পর্যন্ত।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ভোটে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা দিতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্বশস্ত্রবাহিনী কাজ করবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর মাঠে নামবে সশস্ত্র বাহিনীর একটি ছোট টিম। তারা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি অবলোকন  (রেকি) করবে। তাদের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে কতজন সদস্য মাঠে নামবে তা নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ১১দিন, পুলিশ ও র‌্যাব সাত দিন (মোতায়েনের পূর্বে দুইদিন ও প্রত্যাগমনের একদিনসহ), কোষ্টগার্ড সাত দিন ও আনসার সদস্যরা ছয়দিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে।

সূত্র জানায়, নির্বাচনে ভোটের আগে ও পরে ১০ দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্যরা মাঠে রাখার বিষয়ে কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। তাদের নামার আগে এ বাহিনীর কিছু সংখ্যক সদস্য মাঠ পর্যায়ে রেকি করবে। এবার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ভোটের সাতদিন আগে অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর মাঠে নামবে। ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর ও পরে আরও দুই দিন তারা মাঠে থাকবে।

সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোখলেসুর রহমান বলেন, ভোটের আগে ও পরে ১০ দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে মাঠে নামানোর বিষয়ে ইসির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তা চূড়ান্ত করা হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পর। সেই বৈঠকেই নির্বাচনে কত সংখ্যক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের প্রয়োজন হবে, এবং কতদিনের জন্য মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

জানা গেছে, এবারও ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবেন। এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনেও তাদেরকে একইভাবে মোতায়েন করেছিল ইসি। যদিও ২০০৮ সালে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। ওই সময়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও) তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভূক্ত ছিল। পরে তা বাতিল করা হয়।

সম্প্রতি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা জানান, ১৫ ডিসেম্বরের পর সশস্ত্র বাহিনীর একটি ছোট টিম নির্বাচনী এলাকায় যাবে। তারা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকা রেকি করবেন। এসব টিমকে নিয়ে সমন্বয় করে পুলিশকে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর এই টিমের যাতায়াতের ব্যবস্থা পুলিশকে করে রাখতে হবে। অন্যান্য বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পুলিশকে নির্দেশনা জানান সিইসি।

দশম সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৫ দিন মাঠে ছিল। তারা সাধারণ এলাকায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন এলাকায় কমিশনারের অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। ফৌজদারি বিধির আলোকে মোতায়েন করা সেনাবাহিনী ২০১৪ সালের নির্বাচনে মূলত স্ট্রাইকিং বা রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ওই নির্বাচনে সারা দেশে প্রায় ৫০ হাজার সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করে। এক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা একটি ব্যাটালিয়ন (৭৪০ সদস্য) ও প্রতিটি উপজেলায় এক প্লাটুন (৩৫ জন) সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করে।

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel