বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১০:৫২ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্টঃ বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন দৌড়ে ছিটকে পড়ায় হতাশ নেতাকর্মীদের চাপে পড়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন বলে জানা গেছে। এসময় তাঁর সাথে ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক সহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে বহুল আলোচিত সমালোচিত। বিএনপির টিকিটে তিনি ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন দীর্ঘ সময়। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন থেকে তিনি ছিটকে পড়েন। বিএনপি মনোনয়ন দেয় নবাগত মুখ ব্যারিষ্টার রাগিব রউফ চৌধুরী, ফরিদা ইয়াসমিন এবং ঐক্যফ্রন্টের আহসান হাবীব লিংকনকে।
মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক রহমত আলী রব্বান এবং দপ্তর সম্পাদক মারফত আফ্রিদি বলেছেন, ভেড়ামারা-মিরপুরে বিএনপি মানেই অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম। এ আসন থেকে তিনি ৩ বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপিকে দক্ষ নেতৃত্ব দিয়ে ভেড়ামারা-মিরপুরের নেতাকর্মীদের বেঁধেছেন একই সূত্রে। বিএনপির মাঠ তার জন্যই অনুকুলে। বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ও সাধারন জনগন তার উপরই আস্থাশীল। তাকে বাঁধ দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়া মানেই নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবে। এ অবস্থায় তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য বাধ্য করা হয়েছে।
নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের কাছে মনোনয়ন দাখিলের পর অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ভেড়ামারা মিরপুরে আমিই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। জনগন এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার সাথেই আছে। তারপরও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব আমাকে বাদ দিয়ে বাহিরের একজনকে মনোনয়ন দিয়েছে। যার সাথে স্থানীয় বিএনপির কোন সর্ম্পক্ক নেই। তিনি বলেন, নেতাকর্মীরা চান আমি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে বিএনপি কে এ আসনটি উপহার দিই। তাদের চাপে পড়েই আমি প্রার্থী হয়েছি।