শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের পূণঃচেয়ারম্যান

কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের পূণঃচেয়ারম্যান

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে পূণঃ নিয়োগ পেলেন কুষ্টিয়ার খোকসার কৃতি সন্তান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে সোমবার (৩ মে) এই নিয়োগ পান তিনি।

প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে এবং তা অব্যাহত থাকবে। হাসান ফয়েজ বর্তমানে আপিল বিভাগে সিনিয়র বিচারপতি।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দেশের শীর্ষ আদালতে ৯০ এর দশকের এক অনন্য ডাকসাইটে আইনজীবী। তিনি আইনজীবীদের  যাঁর হাতে ছিল মামলার দীর্ঘ তালিকা। তিনি ২০ বছরেরও অধিক সময় আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এই সময়ে তিনি অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সাথে নানা ধরনের মামলা পরিচালনা করেন। আইনের পক্ষে সত্য ও ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করতে ভূমিকা পালন করেন।

হাসান ফয়েজের আইনজীবী জীবনের অধ্যায়টি শেষ হয় ২০০১ সালে যখন তিনি আওয়ামী লীগ সরকার তাকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে নিয়োগ দেন। তারপরে ২০০৯ সালে তিনি স্থায়ী বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০১৩ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পান।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তার শৈশব কেটেছে গড়াই নদীর তীর ঘেঁষা প্রত্যন্ত গ্রামে।

তিনি গ্রামের আজইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। প্রাথমিক সমাপনের পরে তিনি খোকসা জানিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৭২ সালে তিনি খোকসা-জানিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন।

এর পর তিনি সাতক্ষীরার আচার্য্য প্রফুল্ল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭৪ সালে তিনি এই কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি সাতক্ষীরা কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৭৬ সালে স্নাতক পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৭৮ সালে এমএ করেন।

তারপরে তিনি ধানমন্ডি ল কলেজে এলএলবিতে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে আইন ডিগ্রি গ্রহণ করেন। সফলভাবে পড়াশোনা শেষ করার পরে তিনি পেশাদার আইনজীবী হিসাবে তার ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
১৯৮১ সালে তিনি ঢাকা বারে যোগদান করেন এবং ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবী তালিকাভুক্ত হন।

তিনি বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবেও কাজ করেছেন।

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel