শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
অর্শ, গেজ, ভগন্দর চিকিৎসার নামে হাতুড়ে ডাক্তার-কবিরাজদের দৌরাত্মের একটি নমুনা!

অর্শ, গেজ, ভগন্দর চিকিৎসার নামে হাতুড়ে ডাক্তার-কবিরাজদের দৌরাত্মের একটি নমুনা!

 

ডা সুরেশ তুলসান,  কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজঃ

আজ একটা রোগী এলো অনেক দূর থেকে। মলদ্বারে কবিরাজি ঔষুধ লাগানোর পর সম্পুর্ন মলদ্বার পুড়ে ( Chemical burn ) চামড়া সহ খসে পড়ে গেছে। সেখানে এখন দগদগে ঘা হয়ে আছে । কার কাছে যেন শুনেছে অন্য একজন রোগীর মলদ্বার কবিরাজি ঔষধ লাগিয়ে পুড়ে যাওয়ার পর আমার চিকিৎসায় ভালো হয়েছে।
ইস বেচারা কবিরাজি ঔষধ দিয়ে মলদ্বার পুড়ে যেতে পারে এটা যদি আগে কারও কাছে শুনতে পেত তাহলে হয়তো ওর জীবনে এতো বড় একটা অঘটন ঘটতো না।
রোগী (২)- হুঁ রোগীটি ঠিকই শুনেছে। এরকম অনেক রোগীর চিকিৎসাই আমাকে করতে হয়েছে। মনে পড়ে গেল আর এক অল্প বয়সী মেয়ের কথা। সবে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ছুটাছুটি করছে। এর মধ্যে ভালো একটা পাত্র হাতছাড়া হবে এই ভেবে বাবা মা ওর বিয়েও ঠিক করে ফেলেছে। বেশ লম্বা, সুশ্রী, স্মার্ট। এক কথায় পাত্রী হিসাবে বেশ ভালো। হাতে মেহেন্দির রঙ। মাত্র কয়দিন হল বাকদানও হয়ে গেছে। মেয়ের মলদ্বারে সামান্য কিছু সমস্যা ছিল হয়তো, রোগের উপসর্গ শুনে আমার মনে হয়েছিল হয়তো এনাল ফিসার ছিল। ঔষধেই ভালো হয়ে যাওয়ার কথা। অপারেশন লাগলেও অতি মাইনর অপারেশন, এবং দুদিনেই সুস্থ্য হয়ে যাওয়ার কথা। বাবা মা ভাবলেন বিয়ের আগেই মেয়েকে সুস্থ্য করে তুলবেন। তাই নিয়ে গেলেন এক অর্শ, গেজ, ভগন্দর চিকিৎসালয়ের কবিরাজের এর কাছে। কবিরাজ আট হাজার টাকা নিয়ে মলদ্বারে কি যেন একটা ঔষধ লাগিয়ে দিলো। তাতেই পুরো মলদ্বারটা পুড়ে মলদ্বারের সম্পুর্ণ চামড়া খসে পড়ে গেলো । আমার কাছে যখন মেয়েটা প্রথম আসে তখন ওর হাতে মেহেন্দির রঙ আর সম্পুর্ন মলাদ্বার আর আশেপাশের এলাকাজুড়ে দগদগে ঘা। আর রক্ত পুঁজের কষানি ঝড়ছে। মলদ্বার বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই । সেই মুহুর্তে আমার তেমন কিছুই করার ছিল না। কিছু এন্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক আর হিপবাথ ( হালকা গরম পানিতে সেক দেওয়া) দিয়ে বাড়ী পাঠালাম। প্রায় দুই মাসের চিকিৎসায় ওর মলদ্বার আর আশেপাশের ঘা শুকালো ঠিকই কিন্তু মলদ্বার সংকুচিত হয়ে ছোট্ট একটা ছিদ্রে পরিণত হলো। রোগী আর মলত্যাগ করতে পারে না বললেই চলে। পরীক্ষা করে দেখলাম আমার কনিষ্ঠ আংগুলির মাথাও ঠিক মত মলদ্বারে প্রবেশ করে না। এই অবস্থা কে বলে “Severe anal stenosis”. রোগীটির মলদ্বার আমি ঠিক করে দিয়েছিলাম এনোপ্লাস্টি (Anoplasty) নামক একটি অপারেশন করে। অপারেশন টেবিলে মেয়েটির একটি কথা আমার বেজায় মন খারাপ করে দিলো। “স্যার, জানেন এই কবিরাজ এর জন্য আমার বিয়েটা ভেংগে গেছে। যদিও আমাদের লাভ ম্যারেজ ছিল না,তারপরও ওই ছেলেটাকে আমি বেশ পছন্দ করে ফেলেছিলাম। আমরা অনেক কাছাকাছি চলে এসেছিলাম।” – বেশ মন খারাপ নিয়েই সেদিনের সেই অপারেশন টা শেষ করেছিলাম। তারপর মেয়েটা বেশ কবার ফলোআপ এ এসে ছিলো এবং মলদ্বারের কিছু বিদঘুটে, বিভৎস ক্ষত চিহ্ন বাদ দিয়ে সে ছিল সম্পুর্ন সুস্থ্য। শেষ ফলোআপ এ এসে মেয়েটি একটি কথা বলেছিল। “স্যার অপারেশন টেবিলে আমার বিয়ে ভাংগার খবর শুনে আপনি মনে কষ্ট পেয়েছিলেন বলে আমার মনে হয়ে ছিল। তাই আপনাকে বলা। হয়তো যা হয়েছে তা হয়তো আমার ভালোর জন্যই হয়েছে। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকোনোমিকস এ চান্স পেয়েছি। আগে ক্যারিয়ার তারপর পুনরায় বিয়ের কথা নতুন করে ভাববো “। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলে নতুন জীবনটা খুব একটা খারাপ হবে না। হয়তো আগের জীবনের চাইতে ভালোই হবে। মেয়েটি এই কথাগুলো বলার সময় ওর বাবা মা দুজনেই আমার সামনে মুখ নিচু করে বসে ছিলেন।
রোগী(৩) – আরও একজন রোগীর কথা বলি। একজন বৃদ্ধা। হয়েছে মলাশয়ে ক্যান্সার (জবপঃধষ পধহপবৎ)। যেহেতু মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়, তাই পাইলস বা অর্শ মনে করে কবিরাজ দিয়েছে মলদ্বারে ইঞ্জেকশন। ফলে মলদ্বার পুড়ে গিয়ে যাচ্ছে-তাই অবস্থা। একেতো ক্যান্সারের মরন যন্ত্রনা তারপর মলদ্বারের পুড়ে যাওয়া ক্ষত। যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
রোগী(৪)- হঠাৎ রাতে একটা কল পেলাম । তখন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমল। এক সেনা সদস্যের স্ত্রী – ” ***** পাইলস ক্লিনিক”- এ বিকালে মলদ্বারের কি যেনো একটা অপারেশন হয়েছে। প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে মলদ্বার দিয়ে। আমি যখন রোগী এটেন্ড করি তখন রাত ১১টা। রোগীর পড়নের কাপড়চোপড়, বিছানাপত্র রক্তে ভিজে জবজবে। রোগী একেবারেই রক্তশুন্য। রক্তচাপ রেকর্ড করা যাচ্ছে না। রক্ত নালীর পালস হাতে পাচ্ছিনা। হার্টম্যান স্যালাইন, বেশ কয়েকব্যাগ রক্ত দিয়ে রোগীকে Ressuscitate করার পাশাপাশি অপারেশন শুরু করলাম। অপারেশনের সময় রোগীর মলাশয়ে জমে থাকা আরও প্রায় ৫০০ মিলি রক্ত মলদ্বার দিয়ে বের হয়ে আসলো। এর আগে বাইরে যে পরিমান রক্ত ক্ষরন হয়েছে তার তো কোন হিসাব নেই। বেশ কষ্ট করেই ব্লিডিং বন্ধ করলাম। রোগী প্রানে বাঁচলো। শুনলাম কবিরাজ নাকি ১৩০০০ টাকা নিয়েছে অপারেশন করতে। জেলা লেভেলে কোয়ালিফাইড ডাক্তারও এর চেয়ে কম টাকায় এই অপারেশন করে। ১৩০০০ টাকা, তাও আজ থেকে ১২ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৭ সালে।
এবার আসা যাক অর্শ,গেজ, ভগন্দর চিকিৎসালয় গুলোতে আসলে কি করে। এরা মুলত তিন পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে।
পদ্ধতি (১)- ইনজেকশন —
এই পদ্ধতিতে কার্বোলিক এসিড নামক একটি এসিড মলদ্বারের ভিতরে পাইলস এর গোড়ায় ইনজেকশন দিতে হয়। ঠিক নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাপ মত ইনজেকশন দিতে পারলে এটি আয়ুর্বেদ শাস্ত্র স্বীকৃত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। তবে এর জন্য দক্ষতা প্রয়োজন। অদক্ষ হাতে ভুল স্থানে বা পরিমাণ এর তারতম্যের জন্য মলদ্বার পুড়ে যেতে পারে অথবা রোগ ভালো না হতে পারে। এটি একটি স্বীকৃত পদ্ধতি হলেও এর চাইতে আরও ভালো চিকিৎসা আবিষ্কৃত হওয়ায় এই পদ্ধতি এখন আর তেমন ব্যাবহার হয়।
পদ্ধতি (২)- গাছ লাগানো — যদিও ওরা বলে যে গাছ লাগাবে। আসলে কার্বোলিক এসিডের সাথে কিছু গাছপালার পাতার গুড়ো সাথে আরও কিছু উপাদান মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে সেই পেস্ট মলদ্বারে লাগিয়ে দেয়। ফলে মলদ্বারে ছোট খাটো গুটি থাকলে সেই এসিডে পুড়ে ঝড়ে পরে যায়। এই পেস্ট পরিমানে বেশী লাগালে সম্পুর্ন মলদ্বার পুড়ে যেতে পারে।
পদ্ধতি (৩)- অপারেশন —
এমন একটা কাজ যার জন্য প্রয়োজন দক্ষতা। ওরা অপারেশন এর নামে যা করে তা হলো কাঁটাছেড়া। ফলে রোগীর মলদ্বারের বারোটাই শুধু না চৌদ্দটাও বাজতে বাধ্য। এমনকি এধরনের আনাড়িপনা অপারেশন এর ফলে মলদ্বারের মল ধরে রাখার ক্ষমতা চিরতরে নষ্ট পর্য্যন্ত হয়ে যেতে পারে। ফলে রোগীর মলদ্বার দিয়ে সব সময়ের জন্য অল্প অল্প মল বের হতে থাকবে এবং রোগী সামাজিক ভাবে কোথাও চলাফেরা করতে পারবেন না।
ডাক্তার হওয়ার অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন পাড়া – মহল­ায়, অলিতে – গলিতে, সিনেমাহলে, বাসে – ট্রেনে, স্টিমার – লঞ্চে বিভিন্ন আকার আকৃতির সাইনবোর্ড, ব্যানার,ফেস্টুন,লিফলেটে চোখে পড়েছে এই সব অর্শ গেজ ভগন্দর ক্লিনিকের বিজ্ঞাপন। বড় বড় করে লেখা- অর্শ গেজ ভগন্দর শতভাগ গ্যারান্টি সহ চিকিৎসা করা হয়।
অনেক সাধনার পর জানতে পারলাম অর্শ অর্থ হলো পাইলস বা যধবসড়বৎযড়রফং আর ভগন্দর এর অর্থ ফিস্টুলা। গেজ সম্ভবত এনাল ফিসার হলেও হতে পারে।
প্রচলিত বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি এই কোয়াক চিকিৎসা আমদের দেশে অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান।
অশিক্ষিত মানুষের কথা না হয় বাদ দিলাম। অনেক শিক্ষিত মানুষও এদের কাছে চিকিৎসার জন্য যায়। এদের অপচিকিৎসার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হলে মানুষ এদেরকে দোষারোপ না করে এদের কাছে চিকিৎসা নিতে যাওয়া জনিত কারনে নিজেদের মুর্খতাকে আর নিজেদের দুর্ভাগ্য কে দায়ী করেন। অথচ এই মানুষগুলোই যখন কোয়ালিফাইড ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন তখন চিকিৎসা মনপুত না হলে কিংবা চিকিৎসা সংক্রান্ত ছোটখাটো একটা কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি হলেই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলেন, ডাক্তার দের সাথে অসদাচরণ করেন, মামলা করেন।
যেমন কিছুদিন পুর্বে চট্টগ্রামের শিশু রাইফার কথাই বলি – ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ডাক্তার ভুল চিকিৎসা করে শিশুটিকে মেরে ফেলেছে। অথচ একটা কোথাও বা এমন কেউ কি একটিবারের জন্যও বলেছেন বা লিখেছেন যে ডাক্তার সাহেব চেষ্টা করেও শিশুটিকে বাঁচাতে পারলেন না।
কবিরাজদের হাতে মলদ্বার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রোগীদের চিকিৎসা করার সময় আমি প্রায়শই জিজ্ঞাসা করি কত টাকা নিয়েছে, কিভাবে চিকিৎসা করেছে ইত্যাদি। কিছু কিছু রুগীকে অনেকবার প্রস্তাব দিয়েছি কবিরাজ আপনার নিকট থেকে যত টাকা নিয়েছে তার দ্বিগুণ টাকার ঔষধ ওই কবিরাজ এর কাছ থেকে কিনে চার পাঁচ জন মিলে ঠেঁসে ধরে ওই কবিরাজের মলদ্বারে ঔষধটা লাগিয়ে দিবেন। প্রয়োজনে ওই কবিরাজি ঔষধ কেনার টাকাটা আমি দিবো। বলা-বাহুল্য আমার এই প্রস্তাবে আজ পর্যন্ত কেউ রাজী হয়নি।
আর একটা কথা। আমার চেম্বারে আমি যখন মলদ্বারের কোন রোগীর (তা হোক সে Haemorrhoids, বা  Anal fissure, বা Fistula) অপারেশন পুর্ববর্তী কাউন্সিল করি তখন একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় প্রায়শই। ” স্যার অপারেশন করলে এই রোগ আবার হবে না তো ? ” – এবিষয়ে একটু খোলাসা করে বলি। আসল কথা হল এই ধরনের অনেক রোগীই কোয়ালিফাইড কোন ডাক্টারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসার আগে এক বা একের অধিক অর্শ, গেজ ,ভগন্দর, চিকিৎসালয়ে চিকিৎসা নিয়ে মলদ্বারের অবস্থা আরও খারাপ করে নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। অপর্যাপ্ত বা ভুল চিকিৎসা, এসিড, দিয়ে মলদ্বার পুড়ে যাওয়া, যথেচ্ছ কাঁটাছেড়া ইত্যাদি কারনে এদের মলদ্বারে যে কষ্ট বা উপসর্গ থাকে তার উপশম ঠিক মত হয় না অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে পুর্বের চেয়ে বেশী বা আরও খারাপ খারাপ নুতন উপসর্গ তৈরি হয় বিধায় তাদের মধ্যে এই ভীতি তৈরি হয় যে মলদ্বারের রোগ সম্ভবত চিকিৎসা করলেও ভালো হয় না এবং বারে বারে অপারেশন করা লাগে । পুনঃ পুনঃ আশ্বাস দেয়া সত্তে¡ও রোগী বা রোগীর স্বজনেরা এই প্রশ্নটি বারে বারে জিজ্ঞাসা করতে থাকেন। তবে আমি এধরনের রোগী বা রোগী স্বজনদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই যদি কোয়ালিফাইড কেউ, যিনি যতœ সহকারে কাজ করেন এমন কারও হাতে অপারেশন করা হলে শুধুমাত্র “”High variety fistula in ano”- ছাড়া অন্যন্ন ক্ষেত্রে এই রোগ পুনরায় হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। যদি কোন ক্ষেত্রে পুনরায় এই রোগের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে ভাবতে হবে সেটা নতুন করে হয়েছে। আর “”High variety fistula in ano”  এর অপারেশন যদি ইংল্যান্ড বা আমেরিকাতেও করা হয় সেক্ষেত্রেও আবার হওয়ার সম্ভাবনার হার কিন্তু একই রকম।
আমাদের দেশে এই অপচিকিৎসা বন্ধ করতে মিডিয়া কিন্তু একটি ভালো ভুমিকা রাখতে পারে। প্রচারমাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মিডিয়ার উচিৎ এধরনের অর্শ, গেজ, ভগন্দর, পাইলস চিকিৎসালয় গুলোর বিজ্ঞাপন সম্পুর্ন রুপে বর্জন করা। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের উচিৎ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য নিয়ে এদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা।

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel