শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন

ঘোষনা :
  সম্পূর্ণ আইন বিষয়ক  দেশের প্রথম দৈনিক পত্রিকা   দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল এর  পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা   । 
সংবাদ শিরোনাম :
এবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এক সাবেক বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন এক মহিলা বিচারক কারন -যৌন হেনস্থা

এবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এক সাবেক বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন এক মহিলা বিচারক কারন -যৌন হেনস্থা

ডেস্ক রিপোর্টঃ হ্যাস ট্যাগ মিটু বা # metoo ঝড় বয়ে যাচ্ছে সাড়া ভারত জুড়ে।  ভারতে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে  অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উঠেছে যৌন হেনস্থার অভিযোগ।  এবার বিচার বিভাগেও উঠেছে সেই ঢেউ। খবর প্রকাশ করেছে আনন্দ বাজার পত্রিকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়- # মিটু এর আঁচ এবার বিচার বিভাগেও। প্রক্তন এক বিচারপতির বিরুদ্ধে উঠেছে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছেন জেলা আদালতের এক মহিলা বিচারক। অভিযুক্ত হলেন মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টের  এক প্রক্তন বিচারপতি।

চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন বিচারক। সেই মামলা গ্রহণ করে ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছে শীর্ষ আদালত। ছ’সপ্তাহ পর মামলার ফের শুনানি।

ওই মহিলা বিচারক অভিযোগে বলেন- যৌন হেনস্থা শুরু হয়েছিলো ডিসেম্বর ২০১৩ সাল থেকে |তদন্তের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় অভিযুক্ত বিচারপতির বাড়িতে একটি পার্টি ছিল। অভিযোগ, এক আদালত কর্মীর মাধ্যমে ওই অভিযোকারিণী বিচারককে তিনি খবর পাঠান, একটি আইটেম সং-এর সঙ্গে নাচ করতে। কিন্তু মেয়ের জন্মদিন আছে বলে ওই পার্টি এড়িয়ে যান মহিলা বিচারক। পরের দিনই বিচারপতি মেসেজ করেন- এক আইটেম সংয়ের ছন্দে এক সুন্দরী মহিলার নাচ দেখা থেকে বঞ্চিত হলাম।

মহিলা বিচারপতির অভিযোগ, তার পরও নানা রকম অশ্লীল ইঙ্গিত করে মেসেজ করতে থাকেন ওই বিচারপতি। কিন্তু তাতে কোনও সাড়া না দেওয়ায় তাঁর উপর প্রতিশোধ নিতে বদলি করে দেন বলে অভিযোগ জানান মহিলা বিচারক। তাঁর দাবি, তখন তাঁর মেয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিল। তাই তাঁর পক্ষে সেই সময় অন্যত্র কাজে যাওয়া সম্ভব ছিল না। বাধ্য হয়ে ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই তিনি বাধ্য হয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। তাঁকে বেআইনি ভাবে বদলি করা হয় বলেও অভিযোগ মহিলা বিচারকের।

ওই মহিলা বিচারক চাকরি ফিরে পাওয়ার আর্জি জানান। তিন বিচারকের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো অভিযোগ তদন্তের জন্য। এই কমিটি তাদের মতমত দেয় শুত্রুবার হওয়া মামলার শুনানিতে।

যৌন হেনস্থার অভিযোগের সরাসরি প্রমাণ না থাকলেও মহিলা বিচারকের বদলি যে বেআইনি ভাবে করা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে তা স্পষ্ট বলে কমিটি মতামত দেয়|

মহিলা বিচারক জানিয়েছেন যে তিনি স্বেচ্ছায় বা নীতিগত ভাবে চাকরি থেকে ইস্তফা দেননি | বরং পরিস্থিতির চাপ তাঁকে বাধ্য করেছে ওই সিদ্ধান্ত নিতে। তাঁর বদলি ছিল অনিয়মিত, বেআইনি, শাস্তিমূলক ও স্বেচ্ছাচারী। তাই চাকরি ফিরে পেতে চান তিনি।

 

এই সংবাদ টি সবার সাথে শেয়ার করুন




দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।  © All rights reserved © 2018 dainikinternational.com
Design & Developed BY Anamul Rasel