বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
এ,জেড, এম মাসুম আল বুখারী
বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু জ্বর বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে একটি সাধারণ কিন্তু বিপজ্জনক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা প্রধানত এডিস মশার মাধ্যমে মানুষের মাঝে ছড়ায়। সাধারণত বর্ষাকালে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্ষা মৌসুমে বিশেষত শহরাঞ্চলে ডেঙ্গু জ্বরের হার বেড়ে যায়, এবং এর ফলে বর্তমানে অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। কিছু ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ, প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হলো, যেমন: উচ্চ জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা।জটিল অবস্থায় আসলে প্লেটলেট সংখ্যা কমে যাওয়া, রক্তক্ষরণ, এবং র্যাশ বা ত্বকে লালচে দাগ দেখা দিতে পারে। জটিল আকার ধারণ করলে এটি ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের দিকে গড়াতে পারে।ডেঙ্গুর বিস্তার হিসেবে ডেঙ্গুর ভাইরাস এডিস মশা বহন করে। বিশেষ করে, এডিস ইজিপ্টাই এবং এডিস অ্যালবোপিক্টাস নামক মশা সক্রিয়ভাবে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটায়। ডেঙ্গু জ্বর সাধারনত হয় জলাবদ্ধতা ও অপরিচ্ছন্নতা থেকে, এছাড়াও শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব, এবং মশার বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ ডেঙ্গুর বিস্তারকে ত্বরান্বিত করে।ডেঙ্গু জন্য আমরা কিছু প্রতিরোধ ব্যবস্থা করতে পারি যেমন মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস করা, বাড়ির আশপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখা, ফুলের টব, টায়ার, কন্টেইনারে পানি জমতে না দেওয়া।মশারি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা করতে পারি, রাতে মশারি ব্যবহার করা, মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরোধমূলক স্প্রে ও মলম ব্যবহার করা।এছাড়াও মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি, ডেঙ্গু সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, এবং স্কুলগুলোতে প্রচারাভিযান চালানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, ডেঙ্গুর প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক না থাকলেও প্রাথমিক অবস্থায় যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণে রোগী সুস্থ হতে পারে। বিশ্রাম, প্রচুর পানি পান, এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করতে হয়, যদি জটিল অবস্থায় চিকিৎসা হিসেবে ধারন করে তাহলে প্লেটলেট কাউন্টের ওপর নজরদারি রাখা যেতে পারে এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার ভূমিকা হিসেবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারে, যেমন মশা নিধন কর্মসূচি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা। তবে আরও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে সবাইকে আরো সম্মিলিতভাবে সচেতন হতে হবে এবং সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
লেখক : এ,জেড, এম মাসুম আল বুখারী
এলএলবি -অনার্স, এলএলএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়া।