শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬২’র মহান শিক্ষা দিবসকে জাতীয় চেতনায় ধারণ করতে সংসদীয় ও বারোয়ারী বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ। রবিবার বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্ত্বরে সংগঠনটির দলীয় টেন্টে এ বিতর্ক অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানের ১ম পর্বে সংসদীয় বিতর্কের বিষয় ছিল “৬২’র শিক্ষা আন্দোলনই ছিল মহান স্বাধীনতার পটভূমি”। এতে প্রস্তাবনাটির পক্ষে সরকারি দলে অংশগ্রহণ করেন নাজমুস সাকিব (প্রধানমন্ত্রী), ইয়াছিন আলী (মন্ত্রী) ও নাহিদ হাসান (সাংসদ)। অপরদিকে প্রস্তাবনার বিপক্ষে বিরোধী দলে সায়েম আহমেদ (বিরোধী দলীয় নেতা), আহমাদ গালিব (বিরোধী দলীয় উপনেতা) ও জিন্নাত মালিয়াত সীমা (বিরোধী দলীয় সাংসদ) অংশগ্রহণ করেন। এতে বিরোধীদল বিজয়ী হন এবং বিরোধী দলের নেতা সায়েম আহমেদ শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হন।
প্রতিযোগীতার ২য় পর্বে “শিক্ষা আন্দোলন বাঙালি জাতিসত্ত্বার পরিচায়ক” বিষয়ে উম্মুক্তভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বারোয়ারী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম হন আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সায়েম আহমেদ। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন বিচারকমন্ডলী।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন ইবি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও সংগঠনটির সাবেক সহ-সভাপতি রুমি নোমান, সংগঠনটির সভাপতি ইমানুল সোহান এবং সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান সুইট। এতে স্পিকার হিসেবে ছিলেন জিয়াউর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি তামিম আদনান এবং সময় নিয়ন্ত্রক সংগঠনটির কোষাধ্যক্ষ নুর আলম।
ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি রুমি নোমান বলেন, ‘সশিক্ষা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম দাবি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় সরকারীকরণ নিয়ে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর আজ প্রায় পঞ্চাশের অধিক বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বা স্বায়ত্তশাসিত হয়েছে। আদৌ কি আমরা পেরেছি সরকারীমুক্ত হতে? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কি এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে? আগামীতে যদি পরিপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা না দেওয়া হয়, তবে স্বাধীন এবং মুক্তমনা ছাত্রসমাজ গঠনে প্রতিবন্ধকতা থেকে যাবে।